প্রকাশিত: ২৭/০৯/২০১৬ ৭:০২ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া চারজনই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম এ আদেশ দেন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গোলাম মোস্তফা কাইছার, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমির আরিফুল কবির, বদরখালী ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি কুতুব উদ্দিন ও পৌরসভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শওকত আলম গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁরা জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ সূত্রমতে, গত বছরের ২ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ পুনর্বিবেচনার শুনানির দিন ধার্য ছিল। একে কেন্দ্র করে সেদিন ভোরে চকরিয়া পৌর শহরের নিউমার্কেটের সামনে ২০-৩০ জন লোক জড়ো হয়ে সরকার ও সরকার-প্রধানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে জনসাধারণের মনে ভীতির সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ নভেম্বর চকরিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সুখেন্দু বসু বিএনপি ও জামায়াতের ১৬ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। চলতি বছরের ৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলমগীর ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমতাজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল চারজন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পিপি জানান, ওই মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে চারজন জামিনে আছেন। চারজনকে গতকাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আটজন আসামি পলাতক।

পাঠকের মতামত

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...